দৃষ্টি আকর্ষন
সব সময় সর্বশেষ সংবাদ জানতে দৈনিক দেশপ্রেম নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন ........... আপনার এলাকার যে কোন সংবাদ আমাদের ছবিসহ জানান-আমরা সেটি প্রকাশ করবো দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায়, নিউজ পাঠান dailydeshprem@gmail.com এই ইমেইলে ............ আপনার পণ্যের খবর সকলের কাছে দ্রুত পৌছাতে দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন ..........
শিরোনাম :
গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই, আর এটি কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয় : মির্জা ফখরুল বিচার ও সংস্কারের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার ততটুকু সময় পেতে পারে : এনসিপি ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির বৈঠক নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আমরা ফ্যাসিবাদের বিলোপ ও একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে চাই : নাহিদ ইসলাম মানুষের চাওয়া নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত : জয়নুল আবদিন ফারুক আ.লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনার আদর্শ হচ্ছে ভারত এবং তার ঠিকানাও ভারত : দুদু লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপিতে যোগ দিয়েছেন লে. জেনারেল (অব.) হাসান সারওয়ার্দী শাহ মোফাজ্জল কায়কোবাদ দীর্ঘ ১৭ বছর পর মুরাদনগরের জনসভার মঞ্চে
রংপুর উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রওশন এরশাদের পালকপুত্র সাদ এরশাদ : নির্বাচনে থাকলেন এরশাদের ভাতিজা আসিফও

রংপুর উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রওশন এরশাদের পালকপুত্র সাদ এরশাদ : নির্বাচনে থাকলেন এরশাদের ভাতিজা আসিফও

০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, প্রয়াত এরশাদের ভাতিজাসহ নয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এই আসনটি এরশাদের হওয়ায় সবার দৃষ্টি জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের ওপর। সব শেষে দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হয়েছের রওশন এরশাদের পালকপুত্র সাদ এরশাদ।

দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে শোডাউন করে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে, রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় পর্যন্ত যাননি দলের মহাসচিব রাঙ্গা।

এদিকে, মনোনয়নপত্র তুললেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এসএম ইয়াসির।

অন্যদিকে, ভোটযুদ্ধে নামার ঘোষণা দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এরশাদের বড় ভাইয়ের ছেলে আসিফ শাহরিয়ার। দুপুর পৌনে একটার দিকে সর্বপ্রথম মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।

বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তার সঙ্গে দলের জেলা ও মহানগর কমিটির কোনো নেতাকর্মী ছিলেন না। তিনি কয়েকজন স্বজনকে নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে গিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বিকাল ৫টার কিছু সময় পর মহানগর বিএনপির সহসভাপতি কাওছার জামান বাবলা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। সব শেষে আসেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম রাজু। তিনিও বিশাল শোডাউন করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন জানান, নয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, কোনো প্রার্থীই নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি।

সরে দাঁড়ালেন জাপার যুগ্ম মহাসচিন ইয়াসীর

রংপুর-৩ আসনে উপ-নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও রংপুর মহাগরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর। নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও সবার ভালোবাসার সম্মান রক্ষার্থে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন এস এম ইয়াসীর।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি করতে গিয়ে আমি অনেকবার মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছিলাম। অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমি ভোট করতে চাইনি। সবার অনুরোধ, উৎসাহ ও পরামর্শে আমি নির্বাচনে অংশ নিতে নিয়েছিলাম। কিন্তু এরমধ্যে আমাকে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়েছে। মেরে ফেলার ভয় দেখানো হচ্ছে।

ইয়াসীর বলেন, আমিতো নিজের ইচ্ছাতে ভোট করতে চাইনি। আমিতো লুটপাট করতে দলে আসিনি। আমার তো টাকা পয়সা নেই। আমি ভোট করলে কীভাবে জিতব। তাই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি। আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি ভোট করতে পারলাম না। আমাকে তারা ভোট করতে দিল না। হয়তো আমাকে আর দলেও রাখবে না। আমাকে বের করে দিবে। আমি এরশাদ স্যারকে ভালোবেসে এই দলে এসেছিলাম। কর্মী থেকে আজ আপনাদের নেতা হয়েছি। তারপরও কর্মীদের নিয়েই আমি থাকতে চাই।

দলমত নির্বিশেষে সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি কোনোদিন নির্বাচনের পক্ষে ছিলাম না। আমার কোনো স্বপ্নও নেই। আমি কর্মী হিসেবে দলে আজ এই অবস্থানে এসেছি। আমাকে দলের নেতা-কর্মীরাই ভোট করতে উৎসাহিত করেছিলেন। অটো শ্রমিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা, হকার্স সমিতি, হিন্দু সম্প্রদায় নেতারাসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে বলা হয়েছিল। আমি সবার ভালোবাসা ও উৎসাহে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি। দলীয় মনোনয়ন ও নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়টি দলের নীতি নির্ধারকরা আমাকে মূল্যায়ন করেনি।

তিনি বলেন, আমি এরশাদ সাহেবের জন্য দল করেছি। আমি কারো কোনোদিন ক্ষতি করিনি। যারা আমার ক্ষতি করেছে, আমি তাদেরও উপকার করেছি। আজ আমার মতো কর্মীর যদি মূল্যায়ন না হয়, তাহলে আর কোনোদিন কারো মূল্যায়ন হবে না। এসময় তার কান্নার সুরে সেখানে হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© Copyright 2012 Daily Deshprem Design & Developed By Mahmud IT